University of Chittagong
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ঃ
শাটল ট্রেন
'বিশ্ববিদ্যালয়' শব্দটি শুনলে প্রথমে আমাদের মাথায় আসে মোটা মোটা কিছু বইয়ের ভিড়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়া কয়েকটি দালানের আত্মকাহিনী।যদি মাথা থেকে 'বিশ্ববিদ্যালয়'এর চিরাচরিত সংজ্ঞাটা মুছে ফেলতে চান তাহলে ঘুরে আসতে পারেন পাহাড়,ঝর্না মন্ডিত 'চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়'।১৭৫৪ একরের বিশ্ববিদ্যালয় টিতে কি নেই!!আছে পাহাড়,বিশাল মাঠ,নানা রকম জানা অজানা বৃক্ষরাজি আর চির যৌবনা ঝর্না।
যেভাবে যাবেন:
চট্টগ্রাম শহরের মুল প্রানকেন্দ্র নিউমার্কেট থেকে ৩ নং বাসে উঠলে আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেইট এ নামিয়ে দিবে।ভাড়া ২০ টাকা।সেখান থেকে লোকাল সি.এন.জি এর মাধ্যমে জিরো পয়েন্ট পৌছবেন,ভাড়া ৬ টাকা।
আর আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবনের স্বাদ নিতে নিতে যেতে চান,তাহলে আপনাকে ভার্সিটি 'শাটল ট্রেনে' স্বাগতম।ট্রেনে উঠতে হলে আপনাকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে আসতে হবে।শাটল ট্রেন ছাড়ে সাধারনত ১ এবং ২ নং প্লাটফরম থেকে।ট্রেনে চড়তে কোন ভাড়া লাগে না।ট্রেনের সময়সুচী:সকাল ৭:৩০,৮:০০,৯:৪৫,১০:৩০,১:১৫.
ট্রেনে গেলে আপনাকে জিরো পয়েন্ট নামিয়ে দিবে,বাসে গেলে যেখানে আপনাক আবার সি.এন.জি করে জিরো পয়েন্ট আসতে হবে।জিরো পয়েন্ট হল চার রাস্তার মোড়।আপনি যে রাস্তা দিয়ে ভার্সিটি ঢুকবেন,সেখান থেকে নাক বরাবর সোজা গেলে আপনি মেইন ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবেন।আর বাম দিকের রাস্তা বরাবর গেলে পাবেন 'ফরেস্ট্রি ফ্যাকাল্টি' আর 'বোটানিকাল গার্ডেন'।আর ডান দিকের পথ ধরে এগুলে দেখবেন শাহজালাল হল,শাহ আমানত হল,সোহওয়ারদী হল,এফ রহমান হল,সেন্ট্রাল মসজিদ,বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ,এশিয়া বিখ্যাত 'ল ফ্যাকাল্টি' আর সুবিশাল খেলার মাঠ।
প্রথমে জিরো পয়েন্ট থেকে নাক বরাবর সোজা পথটা দিয়ে হাটতে থাকুন।দুই পাহাড়ের মাঝখানে কাটা পথ দিয়ে হাটতে হাটতে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।১৫/২০ মিনিট হাটলে প্রথম পড়বে বি.বি.এ. ফ্যাকাল্টি।এর একটু সামনেই চবির স্মৃতিসৌধ।
স্মৃতিসৌধ
একটু সামনে এগুলে আইটি ফ্যাকাল্টি পাবেন।আইটি ফ্যাকাল্টির সামনে অবস্থিত কলা ফ্যাকাল্টি।কলা ফ্যাকাল্টি র পাশে চবির প্রশাসনিক ভবন।সামনে এগুতে থাকতে আরো পাবেন সায়েন্স ফ্যাকাল্টি, বায়োলজিক্যাল ফ্যাকাল্টি আর মেরিন সায়েনশ ফ্যাকাল্টি। সাথে বন্ধুবান্ধব নিয়ে গেলে বায়োলজিক্যাল ফ্যাকাল্টির পিছনের পাহাড় টা ঘুরে আসতে পারেন।আশা করি মন্দ লাগবে না। সকালের নাস্তা আর দুপুরের খাবার টা কলা ফ্যাকাল্টি সংলগ্ন 'কলা ঝুপড়ি' তে করতে পারেন।কম টাকায় পেট পুজাটা ভাল মতই করে নিতে পারবেন।কলা ঝুপড়ি পিছনে আছে ছোট আকৃতির তবে চমকপ্রদ ঝর্না।সাতার না জানলে ঝর্নায় গোসল করতে নামা ঠিক হবে না।ঝর্নাটা খুব গভীর।সব ঘুরা শেষ হয়ে গেলে লোকাল সি.এন.জি. জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়া করে ল ফ্যাকাল্টি চলে যান।এশিয়ার বিখ্যাত এবং আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ল ফ্যাকাল্টি অবস্থান আপনার মন ভরিয়ে দেবে।
এশিয়া বিখ্যাত ল ফ্যাকাল্টি
বাড়তি হিসেবে দেখে আসতে পারেন ল ফ্যকাল্টি কাছেই অবস্থিত প্যাগোডা আর সুইস গেইট।হাতে সময় থাকলে হেটে হেটে জিরো পয়েন্টের দিকে যেতে পারেন,তাহলে ছেলেদের হল আর সেন্ট্রাল মসজিদ টাও দেখা হয়ে যাবে।শেষ বিকাল টা কাটাতে পারেন ফরেস্ট্রি ফ্যাকাল্টি আর বোটানিক্যাল গার্ডেনে।চবির সবচেয়ে শান্ত ও শান্তির জায়গা।পরিবেশ টা এমন মনোরম যে আপনাকে সবুজে নিজেকে কিছু সময়ের জন্য হলেও হারিয়ে ফেলতে বাধ্য।বোটানিকাল গার্ডেন ঘুরা শেষ হলে লোকাল সি.এন.জি নিয়ে চলে আসুন জিরো পয়েন্ট।পাশেই চবির রেলস্টেশন।
চবি থেকে শহরে আসার ট্রেনের সময় সুচী:১:৩০,২:৩০,৪:০০,৫:৩০,৯:৩০
আর বাসে যেতে চাইলে সি.এন.জি ধরে ১ নং গেইট আর সেখান থেকে শহরমুখী বাস।
কম বাজেটে ভাল কিছু ঘুরতে চলে আসতে পারেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
খরচঃ
যাতায়াত-সবমিলিয়ে ১০০ টাকা
সকালের নাস্তা-৩০ টাকা
দুপুরের খাবার-৫০/৭০ টাকা
মোট-২০০ টাকা
লেখকঃস্বরুপ ভৌমিক অন্তু
শাটল ট্রেন
'বিশ্ববিদ্যালয়' শব্দটি শুনলে প্রথমে আমাদের মাথায় আসে মোটা মোটা কিছু বইয়ের ভিড়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়া কয়েকটি দালানের আত্মকাহিনী।যদি মাথা থেকে 'বিশ্ববিদ্যালয়'এর চিরাচরিত সংজ্ঞাটা মুছে ফেলতে চান তাহলে ঘুরে আসতে পারেন পাহাড়,ঝর্না মন্ডিত 'চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়'।১৭৫৪ একরের বিশ্ববিদ্যালয় টিতে কি নেই!!আছে পাহাড়,বিশাল মাঠ,নানা রকম জানা অজানা বৃক্ষরাজি আর চির যৌবনা ঝর্না।
যেভাবে যাবেন:
চট্টগ্রাম শহরের মুল প্রানকেন্দ্র নিউমার্কেট থেকে ৩ নং বাসে উঠলে আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেইট এ নামিয়ে দিবে।ভাড়া ২০ টাকা।সেখান থেকে লোকাল সি.এন.জি এর মাধ্যমে জিরো পয়েন্ট পৌছবেন,ভাড়া ৬ টাকা।
আর আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবনের স্বাদ নিতে নিতে যেতে চান,তাহলে আপনাকে ভার্সিটি 'শাটল ট্রেনে' স্বাগতম।ট্রেনে উঠতে হলে আপনাকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে আসতে হবে।শাটল ট্রেন ছাড়ে সাধারনত ১ এবং ২ নং প্লাটফরম থেকে।ট্রেনে চড়তে কোন ভাড়া লাগে না।ট্রেনের সময়সুচী:সকাল ৭:৩০,৮:০০,৯:৪৫,১০:৩০,১:১৫.
ট্রেনে গেলে আপনাকে জিরো পয়েন্ট নামিয়ে দিবে,বাসে গেলে যেখানে আপনাক আবার সি.এন.জি করে জিরো পয়েন্ট আসতে হবে।জিরো পয়েন্ট হল চার রাস্তার মোড়।আপনি যে রাস্তা দিয়ে ভার্সিটি ঢুকবেন,সেখান থেকে নাক বরাবর সোজা গেলে আপনি মেইন ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবেন।আর বাম দিকের রাস্তা বরাবর গেলে পাবেন 'ফরেস্ট্রি ফ্যাকাল্টি' আর 'বোটানিকাল গার্ডেন'।আর ডান দিকের পথ ধরে এগুলে দেখবেন শাহজালাল হল,শাহ আমানত হল,সোহওয়ারদী হল,এফ রহমান হল,সেন্ট্রাল মসজিদ,বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ,এশিয়া বিখ্যাত 'ল ফ্যাকাল্টি' আর সুবিশাল খেলার মাঠ।
প্রথমে জিরো পয়েন্ট থেকে নাক বরাবর সোজা পথটা দিয়ে হাটতে থাকুন।দুই পাহাড়ের মাঝখানে কাটা পথ দিয়ে হাটতে হাটতে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।১৫/২০ মিনিট হাটলে প্রথম পড়বে বি.বি.এ. ফ্যাকাল্টি।এর একটু সামনেই চবির স্মৃতিসৌধ।
স্মৃতিসৌধ
একটু সামনে এগুলে আইটি ফ্যাকাল্টি পাবেন।আইটি ফ্যাকাল্টির সামনে অবস্থিত কলা ফ্যাকাল্টি।কলা ফ্যাকাল্টি র পাশে চবির প্রশাসনিক ভবন।সামনে এগুতে থাকতে আরো পাবেন সায়েন্স ফ্যাকাল্টি, বায়োলজিক্যাল ফ্যাকাল্টি আর মেরিন সায়েনশ ফ্যাকাল্টি। সাথে বন্ধুবান্ধব নিয়ে গেলে বায়োলজিক্যাল ফ্যাকাল্টির পিছনের পাহাড় টা ঘুরে আসতে পারেন।আশা করি মন্দ লাগবে না। সকালের নাস্তা আর দুপুরের খাবার টা কলা ফ্যাকাল্টি সংলগ্ন 'কলা ঝুপড়ি' তে করতে পারেন।কম টাকায় পেট পুজাটা ভাল মতই করে নিতে পারবেন।কলা ঝুপড়ি পিছনে আছে ছোট আকৃতির তবে চমকপ্রদ ঝর্না।সাতার না জানলে ঝর্নায় গোসল করতে নামা ঠিক হবে না।ঝর্নাটা খুব গভীর।সব ঘুরা শেষ হয়ে গেলে লোকাল সি.এন.জি. জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়া করে ল ফ্যাকাল্টি চলে যান।এশিয়ার বিখ্যাত এবং আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ল ফ্যাকাল্টি অবস্থান আপনার মন ভরিয়ে দেবে।
এশিয়া বিখ্যাত ল ফ্যাকাল্টি
বাড়তি হিসেবে দেখে আসতে পারেন ল ফ্যকাল্টি কাছেই অবস্থিত প্যাগোডা আর সুইস গেইট।হাতে সময় থাকলে হেটে হেটে জিরো পয়েন্টের দিকে যেতে পারেন,তাহলে ছেলেদের হল আর সেন্ট্রাল মসজিদ টাও দেখা হয়ে যাবে।শেষ বিকাল টা কাটাতে পারেন ফরেস্ট্রি ফ্যাকাল্টি আর বোটানিক্যাল গার্ডেনে।চবির সবচেয়ে শান্ত ও শান্তির জায়গা।পরিবেশ টা এমন মনোরম যে আপনাকে সবুজে নিজেকে কিছু সময়ের জন্য হলেও হারিয়ে ফেলতে বাধ্য।বোটানিকাল গার্ডেন ঘুরা শেষ হলে লোকাল সি.এন.জি নিয়ে চলে আসুন জিরো পয়েন্ট।পাশেই চবির রেলস্টেশন।
চবি থেকে শহরে আসার ট্রেনের সময় সুচী:১:৩০,২:৩০,৪:০০,৫:৩০,৯:৩০
আর বাসে যেতে চাইলে সি.এন.জি ধরে ১ নং গেইট আর সেখান থেকে শহরমুখী বাস।
কম বাজেটে ভাল কিছু ঘুরতে চলে আসতে পারেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
খরচঃ
যাতায়াত-সবমিলিয়ে ১০০ টাকা
সকালের নাস্তা-৩০ টাকা
দুপুরের খাবার-৫০/৭০ টাকা
মোট-২০০ টাকা
লেখকঃস্বরুপ ভৌমিক অন্তু
If you Love the Faux Fur, then you can go through the most hunted faux fur vest Collection.
ReplyDeleteHope you will like it.
Thank You.
Slotocasino.com Casino Site
ReplyDeleteLooking for slots online? Choose from hundreds 바카라 사이트 of exciting online casino sites! ⭐ 카지노 Casino games, jackpots, slots 메리트 카지노 쿠폰 and so much more.