Sajek Valley

সাজেক ভ্রমনঃ
২৫/১২/১৬ রাত ১০:১৫ মিনিটে শান্তি পরিবহনে করে খাগড়াছড়ির উদ্দেশে যাত্রা শুরু। ভাড়া ৫২০ টাকা প্রতিজন। অনেক বাস আছে শ্যামলি, সৌদিয়া,ইকনো এবং অন্যান্য। শান্তি পরিবহনে সামনের দিকে সিট পেয়েছিলাম। তাই এটাটেই টিকিট কেটেছিলাম। 
                                                             মেঘে ঢাকা সাজেক
২৬/১২/১৬ ভোর ৫টার দিকে খাগড়াছড়ি পৌছাই। তখনো নাস্তা করার জন্য কোন হোটেল খোলেনি।তারপর একটু অপেক্ষা করে বাসষ্ট্যন্ডের পাশেই মনটানা হোটেল এ নাস্তা খাই। খাবারের মান ভালো এবং দাম সহনীয়। তারপর আশেপাশে থাকার জন্য কয়েকটি হোটেল খোজ করি। একটাও তেমন ভাল লাগেনা। তখন এক অটো ড্রাইভার এর পরামর্শে শহরের একটু বাইরে hotel echochari inn এর উদ্দেশে রওয়ানা দেই। বাসষ্ট্যন্ড থেকে যেতে সেখানে ২০ মিনিটের মত সময় লাগে অটোতে করে যেতে। ভাড়া নেয় ৬০ টাকা। আরেকটা কথা বলে রাখা দরকার খাগড়াছড়ির মুল পয়েন্ট বলি আর বাসষ্ট্যন্ড বলি তা শাপলা চত্তর নামে পরিচিত। আচ্ছা তারপর hotel echochari inn দেখে মনটা 
ভালো হয়। খাগড়াছড়িতে যেমন রিসোর্ট কল্পনা করেছিলাম অনেকটাই মনের মত। সেখানে কথা বলে রুম ঠিক করি। সেখানে তাদের শুধু ডাবল বেড রুম হয়। ভাড়া নিবে ১২০০ টাকা প্রতি রাত। ২ জন থাকা যাবে। ফিক্সড প্রাইস। আগের থেকে বুকিং না দিয়েও ভাগ্যজোরে রুম পেয়ে যাই। মোটামুটি সব ধরনের সুযোগ সুবিধাই পাবেন এই হোটেলে। আপনারা যাবার আগে চেষ্টা করবেন বুক করে যেতে। তাদের কন্টাক্ট নাম্বারঃ ০৩৭১-৬১৬২৫, ০৩৭১-৬১৬২৬, ০১৮২৮-৮৭৪০১৪। তারপর হোটেল এ গিয়ে ৯:৩০ এর দিকে একটু ঘুম দেই। ঘুম থেকে উঠি ২ টার দিকে। তারপর আবার শাপলা চত্তর গিয়ে হোটেল মনটানার পাশে চিটাগং হোটেল এ খাওয়া দাওয়া করি। এখানেও খাবার ভালো। হোটেল ইকোচারিতেও খাবারের ব্যবস্থা আছে। তবে আগে অর্ডার দিতে হবে। তারপর একটা অটো ঠিক করি ঝুলন্ত ব্রিজ নিয়ে যাবে। ২৫০ টাকাতে রাজি হয়। কোন তাড়াহুরা না করে সম্পুর্ন অনুভবে ঝুলন্ত ব্রিজ এর জায়গাটুকু ঘুরে ঘুরে দেখি। ব্রিজের মাঝে দোল খাই। আশে পাশে পাহাঢ় আর প্রকৃতি দেখি। এখানে শিশু পার্কের মত ট্রেনে উঠার ব্যবস্থাও আছে। ট্রেনে উঠতে ৫০ টাকা লাগে পার পারসন। এটা একটু বেশী মনে হয়েছে।
ঝুলন্ত ব্রীজ আর প্রকৃতির অনুভবে অনেকটা সময় পার করে চলে যাই সিস্টেম রেস্টুরেন্টে। খাগড়াছড়ির অন্যতম ফেমাস রেস্টুরেন্টে। সেখানে মুরগীর মাংস, হাসের মাংস, ভর্তা, ডাল অনেক মজাদার। রাতের খাবার খাবো এখানে। এখানে ব্যম্বো চিকেন আর ব্যম্বো ফিস পাওয়া যায়। তবে আগের দিন অর্ডার দিতে হবে। আমরা আজ এখানে খাবো এবং অর্ডার দিয়ে যাবো ব্যম্বো চিকেনের। আপনারা আগের থেকে অর্ডার দিয়ে রাখতে পারেন ফোনে। তাদের কন্টাক্ট নাম্বারঃ ০৩৭১-৬২৬৩৪। অত্যন্ত তৃপ্তি নিয়ে রাতের খাবার শেষ করলাম। তারপর সেখানে কিছুক্ষন গল্প গুজব করলাম। অতি মনোরম পরিবেশ এবং সবার ব্যবহার অতি মিষ্টি। তারপর রাতে চলে আসি হোটেল এর নিচে। নিঝুম পরিবেশে প্রিয়জনের সাথে হাটি, চা খাই, সেখানের মানুষজনের সাথে গল্প গুজব করি আর পাহাড়ি প্রকৃতি অনুভব করি। রাতে আড্ডা আর গল্প এবং হোটেল এর বারান্দায় তারা দেখা এক অপার্থিব অনুভুতি।
২৭-১২-১৬ তারিখে ৭ টায় চলে যাই শাপলা চত্তর সেখানে সকালের নাস্তা করে চান্দের গাড়ি ঠিক করি। এখানে ২ রকমের গাড়ি পাওয়া যায়। জীপ, আর পিক আপ। জীপ এ বসা আরামদায়ক না তাই পিক আপ নেয়াটাই ভাল হবে। যেই উচু নিচূ রাস্তা সাজেকের পথে সেক্ষেত্রে সিএনজি আর মোটরবাইক এ যাবার কথা চিন্তাও করবেন না। যদি সাজেক গিয়ে ১ রাত থাকেন তাহলে চান্দের গাড়ি ভাড়া নিবে ৭১০০ টাকা আর ড্রাইভার কে খানাপিনা বাবদ আরো ১০০০ টাকা অর্থাৎ মোট ৮১০০ টাকা চান্দের গাড়ি বাবদ। আর যদি দিনে গিয়ে দিনে বেক করেন তাহলে চান্দের গাড়িকে ৫১০০ টাকা দিতে হবে। তবে দিনে গিয়ে দিনে আসলে সাজেক যাওয়া অর্থহীন। চান্দের গাড়িতে আরামে ১০/১২ জন যেতে পারবেন। সকাল ৮টার মধ্যে চান্দের গাড়ির ব্যপারটা ফয়সালা করে ফেলবেন। তার বেশী দেরি হলে আর্মি এস্কোর্ট মিস করবেন। আর সকাল ৮টার মধ্যে চান্দের গাড়ির সেখানে উপস্থিত থাকলে আপনাদের সাথে যাবার জন্য ছোট ছোট দল পেয়ে যাবেন। তবে আমরা কাউকে সাথে নেইনি। রিজার্ভ নিয়ে নিয়েছি। মোটামুটি স্বর্গীয় দৃশের মধ্যে দিয়ে ভয়ংকর বাক আর অকল্পনীয় উচ্চতায় যেতে যেতে আমরা ১২টায় পৌঁছে যাই সাজেকে। সবাইকে অনুরোধ করবো ড্রাইভারকে কে অনেক সতর্ক ভাবে গাড়ি চালাতে বলবেন। কারন রাস্তা অনেক উঁচু এবং বিপদজনক অনেক বাক আছে। তবে আশেপাশের প্রকৃতির বর্ননা দেয়া কোন লেখকের পক্ষেই সম্ভবপর নয়। আমরা সাজেক পৌঁছে আগের থেকে বুকিং দেয়া রিসোর্টে চেক ইন করি। অনেক রিসোর্ট আছে যার মান প্রায় সবার এক রকম।
                                                           মেঘের উপরে সাজেক
আমরা ছিলাম নিরিবিলি রিসোর্টে। ফোনে অবশ্যই এডভান্স বুকিং দিয়ে যাবেন। তাদের কন্টাক্ট নাম্বারঃ০১৮৬৬-০৩৫৮২৫। অনেক ভাল ব্যবহার। এক রুমের ভাড়া ২৫০০ টাকা। তবে একটু অনুরোধ করাতে ২২০০ টাকা রেখেছে। এক রুমে ২টা বেড। ৪ জন থাকা যাবে। এটাচ বাথ আছে। মোবাইল চার্য দেয়া যায় রাত ১১টা পর্যন্ত। তবু চেষ্টা করবেন পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে যেতে। হোটেল এ চেক ইন দিয়েই চলে যাই খাবারের অর্ডার দিতে। কারন এখানে আগে ভাগে অর্ডার না দিলে খাবার পাবেন না। সামনেই কিছু হোটেল আছে। খাবারের দাম অত্যাধিক বেশী। ভাত,মুরগী,ডাল খেতে চাইলে ১৮০ টাকা পার পারসন। আর ডিম দিয়ে খেতে চাইলে ১০০ টাকা। খাবার খেয়ে তেমন মজা পাইনি। খাবার শেষ করে আশেপাশে একটু হাটি আর চা খাই আর স্থানীয়দের সাথে একটু গল্প গুজব করি। তারপর হোটেল এ গিয়ে একটু বিশ্রাম নেই। তারপর ৩:৩০ এ বের হয়ে পড়ি 
                                                              চান্দের গাড়ি
কাংলাক পাড়ার উদ্দেশে। চান্দের গাড়ি নিয়ে যায় সেখানে। তারপর ১০-১৫ মিনিট একটু ট্র্যাক করে চুড়ায় উঠি। আহা এই দৃশ্যের কোন সংজ্ঞা নেই। শুধু আছে অনূভব। চেষ্টা করবেন এখানে সূর্যাস্ত দেখতে। আমি অভাজন এই সুন্দরের সংজ্ঞা দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই।
তারপর আস্তে আস্তে পাহাড় থেকে নেমে আসি। তারপর চান্দের গাড়িতে করে হেলিপ্যড আসি। বিস্ময়ে হতবাক হেলিপেড এ দাঁড়িয়ে অপার সৌন্দর্য অবলোকন করি।ঘাসের মাঝে শুয়ে থাকি। তারপর একটু রাত হলে এখান থেকে বের হয়ে সাজেক মুল পয়েন্টে চলে আসি। এদিক সেদিক হেতে বেড়াই। তারপর দেখি বারবিকিউ করা হচ্ছে। সেখানে বসে পড়ি। বসে বসে সবার সাথে বারবিকিউ করা দেখি। প্রতি পিস ১০০ টাকা। সাথে পরটা, সিদ্ধ ডিম, চাপিলা মাছ আছে। খেতেও মজার। সেখানে অনেকটা সময় পার করে আরেকটু সামনে যাই। একটা সুন্দর চা, কফির দোকান পাই। সেখানে বসে চা খাই। অনেকে গিটার নিয়ে গান গাচ্ছিলো। বসে বসে গান শুনি। তারপর আস্তে আস্তে রিসোর্টে রওয়ানা দেই। রাতে কিছু ক্ষন গল্প গুজব করে ঘুমিয়ে পড়ি।
২৮-১২-১৬ তারিখ সকালে ঘুম থেকে উঠে আবার হেলিপেডে যাই সুর্যোদয় দেখার অভিপ্রায়ে। ভোরের সাজেক অন্যরকম মাদকতা সৃষ্টি করে। কুয়াসা ভেঙ্গে আস্তে আস্তে মেঘ দেখা যায়। আমরা মেঘের উপর দাঁড়িয়ে মেঘ দেখি। এই শীতেও ভালোই মেঘ দেখেছি।তারপর হেটে আশে পাশের আরো কিছু দেখি। সাজেকের সব কিছুই সুন্দর। তারপর ৯:৩০ এর মধ্যে চান্দের গাড়িতে উঠে বসি। ১:৩০ এর মধ্যেই পৌঁছে যাই খাগড়াছড়ি। দুপুরে মনটানা হোটেল এ খাওয়া দাওয়া করে চলে যাই আবার hotel echochari in। এখানে রুম নিয়ে বিকাল পর্যন্ত একটু বিশ্রাম নেই। তারপর একটা অটোতে করে নিউজিল্যন্ড যাই। খুব অল্প সময় লাগবে সেখানে যেতে। তবে সেখানে দেখার কিছুই নেই। একটু চুপচাপ বসে সময় কাটাবার জন্য যেতে পারেন। তারপর এখানে কিছু সময় থেকে চলে যাই সিস্টেম হোটেল এ। সেখানে আমরা অর্ডার করে রেখেছিলাম ব্যম্বো চিকেন। সেটা দিয়ে রাতের খাবার খাবো। ব্যম্বো চিকেন দিয়ে রাতের খাবার খেয়ে কিছুক্ষন হোটেল এর নিচে ঘুরাঘুরি করি, চা খাই, হোটেল এ বসে সময়টা উপভোগ করি।
২৯-১২-১৬ তারিখে হোটেল থেকে চেক আউট করে চলে আসি শাপলা চত্তর। সেখানে ঢাকা আসার বাসের টিকিট কাটি। রাত ৯টায় বাস। তারপর নাস্তা করি চিটাগং হোটেল এ। তারপর ১টা কমদামী হোটেলে শুধু ব্যগ রাখবো আর রাতে বাসে উঠার আগে ২ ঘন্টা বিশ্রাম নিবো সেজন্য ১টা সিঙ্গেল রুম নেই। ৬০০ টাকা ভাড়া। হোটেলের নাম নূর হোটেল। তারপর হোটেল থেকে ১১ টায় বের হই আর একটা সি এন জি ভাড়া করি। সে আমাদের আলুটিলা গুহা, বৌদ্ধ বিহার, টাওয়ার, রিসাং ঝর্না দেখাবে। বিনিময়ে তাকে ১০০০ টাকা দিবো। এই সব গুলো ১ রাস্তাতেই। তাই ঘুরতে কোন সমস্যা হবেনা। প্রথমে যাই আলুটিলা গুহা। টিকেট কাটতে হবে ১০ টাকা দিয়ে। আর মশালের দাম ১০ টাকা। আলুটিলা সুরঙ্গ পুরোটা পার হয়েছি। এ এক ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা। সুরঙ্গ এক দিয়ে ঢুকবেন আর পুরোটা পার হয়ে আর এক দিক দিয়ে বের হবেন। তাহলেই সুড়ঙ্গের ফিল টা পাবেন।
                                      আলুটিলা গুহা
  আমাদের কে সুড়ঙ্গ পার হতে স্থানীয় এক বাচ্চা মেয়ে (দিপিলীকা) সহায়তা করেছে। যদিও কঠিন কিছু না তবে মেয়েটি আমাদের সাথেই ছিলো। আর এখানে মিষ্টি ডাব পাবেন। জোড়া ৫০ টাকা। এখান থেকে বের হয়ে চলে যাই বৌদ্ধ বিহার। সেখানে ৩০ মিনিট থাকি। তারপর যাই টাওয়ার এ। সি এন জি আপনাকে টাওয়ার এর মাথা পর্যন্ত নিয়ে যাবে। সেখানে ৩০ মিনিতের মত সময় কাটাতে পারেন প্রিয়জনের হাত ধরে। তার পর সেখান থেকে বের হয়ে যাই রিসাং ঝরনার উদ্দেশে। সি এন জি অনেক ভিতর পর্যন্ত যাবে, তারপর হেটে নামতে হবে। তবে সেখানেও মোটরসাইকেল আছে। আমরা হাটিনি। মোটর সাইকেলে করে নিচে নেমেছি। আপ ডাওন ১০০ টাকা নিবে পার পারসন। ঝর্নায় পানি একটু কম থাকলেও এখনো অনেক সুন্দর। ঝর্নার এখানে ৪০ মিনিটের মত থাকি। তারপর চলে আসি শাপলা চত্তরে। তখন বাজে বিকাল ৫টা। তারপর শুনি পাশে মেলা হচ্ছে। সেখানে নানান রকমের পিঠা পাওয়া যায়। বিশেষ করে মারমা পিঠার নাম শুনেছি। বিজয় মেলাতে গিয়ে মারমা পিথা, চিরুনি পিঠা খাই আর কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করি। তারপর ৭ টায় চলে যাই নুর হোটেলে। ২ ঘন্টার মত বিশ্রাম নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেই।
তাহলে চলেন দেখে নেই এক নজরে সব কিছুঃ
খাগড়াছড়িঃ 
 ১. হোটেল ইকোচারি (০৩৭১-৬১৬২৫, ০৩৭১-৬১৬২৬, ০১৮২৮-৮৭৪০১৪)
২. ঝুলন্ত ব্রিজ
৩. আলুটিলা গুহা
৪. বৌদ্ধ বিহার
৫. টাওয়ার
৬. রিসাং ঝর্না
৭. নিউজিল্যন্ড ( যাবার দরকার নাই তার বদলে কৃষি গবেষনা যেতে পারেন)
৮. সিস্টেম রেষ্টুরেন্ট (০৩৭১-৬২৬৩৪)
সাজেকঃ
১. নিরিবিলি রিসোর্ট (০১৮৬৬-০৩৫৮২৫)
২. কাংলাক পাড়া চুড়া
৩. হেলিপ্যাড
৪. রাতে বারবিকিউ
৫. চান্দের গাড়ি (জয়নাল ০১৮৬৫-৪৩২৮০০) এটা একটা জীপ তবে আপনারা সামনে গিয়ে নিলে অবশ্যই পিক আপ নিবেন।
বিদ্রঃ (খাগড়াছড়ি)
১. আপনি ইচ্ছে করলে অনায়াসে খাগড়াছড়ির উল্লেখিত স্থান গুলো ১ দিনে ঘুরে শেষ করতে পারবেন।
২. খাগড়াছড়ি তে সব অপারেটরের নেটওয়ার্ক আছে।
৩. শনিবার আর সোমবার রাত পর্যন্ত খাগড়াছড়িতে ইলেক্ট্রিসিটি থাকেনা। তাই সেভাবে মোবাইল চার্য দিয়ে রাখবেন।
৪. বিকাশ আছে। 
বিদ্রঃ (সাজেক)
১. সাজেকে রবি আর টেলিটক নেটওয়ার্ক আছে কিন্তু টেলিটকের নেটওয়ার্ক তত শক্তিশালী না।
২. সাজেকে নিরিবিলি রিসোর্টে ব্যটারি দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করেছিল তবে সেটা রাত ১১ টা পর্যন্ত। তবুও সেখানে বিদ্যুতের আশা না করাই ভালো।
৩. বিকাশ এর দোকান আমার চোখে পড়েনি। 
লেখকঃ Sohag Tamzid

Comments

Popular posts from this blog

University of Chittagong

Furamon Pahar(ফুরামন পাহাড়)

Bashbaria Sea Beach